প্রাসঙ্গিক তথ্য
গাছের ফল ধারণের উপযুক্ত বয়স হয়েছে কিনা এবং গাছের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি আছে কি না তা জানতে হবে। এমনকি গাছে পাকামাকড়ের আক্রমণ আছে কি না তাও জানতে হবে। এমনিভাবে মাটিতে রসের ঘাটতি, পরাগায়নের সমস্যা, তাপমাত্রা ইত্যাদি বিষয়ের তথ্য সগ্রহ করতে হবে ।
উপকরণ
(১) বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ ।
(২) বিভিন্ন ধরনের তথ্য (গাছের বয়স, মাটিতে রসের অবস্থা, পরাগায়ণের সুযোগ, তাপমাত্রা, মাটিতে পুষ্টি উপাদান ইত্যাদি)
(৩) প্রুনিং করাত, দা, প্রুনিং কঁচি বা সিকেচার
(৪) কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক
(৫) হরমোন
(৬) ঔষধ প্রয়োগের জন্য সিঞ্চনযত্র ইত্যাদি ।
কাজের ধাপ
(১) অফলবতী হওয়ার অভ্যন্তররীণ ও বাহ্যিক কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে ।
(২) ফুলের মধ্যে অসংগতি আছে কিনা তা দেখতে হবে। যেমন পুংকেশর বড়, গর্ভদন্ড খুব ছোট, আবার গর্ভদন্ড বড়, পুংকেশর ছোট, ফুল একলিঙ্গ, পুংকেশর আগেই বের হয়ে পূর্ণতা লাভ করে, পুংকেশরে পরাগরেণু খুব কম ইত্যাদি ।
(৩) ফুল ও ফল হওয়ার সময় বাধা সৃষ্টি করে এমন বাহ্যিক কারণগুলো দেখতে হবে । যেমন-শুষ্ক আবহাওয়া, প্রচন্ড তাপ, বাতাসের ঝড়ো গতি, গাছের অবস্থান খুব উঁচুতে বা নিচুতে, গাছের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, গাছে অতিরিক্ত ডালপালা গজানো, কীট ও রোগের আক্রমণ, অসময়ে এবং মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রে করা, ফুল হওয়ার পর বৃষ্টিপাত হওয়া ইত্যাদি ।
(৪) ফুল আসার আগে গাছের স্বাভাবিক বৃদি বজায় রাখার জন্য উপযুক্ত মাত্রায় সারের উপরি প্রয়োগ করতে হবে । সার প্রয়োগের পর সেচ দিতে হবে।
(৫) বংশগত কারণে অফলবতী হলে সে গাছ বাদ দিয়ে স্থায়ীভাবে অধিক ফলনশীল ভালজাতের গাছ লাগাতে হবে।
(৬) পরাগায়ণের সুবিধার জন্য মৌমাছি পালন ও হাতের সাহায্য পরাগায়ণ করতে হবে ।
(৭) উপরে ২নং ক্রমিকের বর্ণিত সমস্যা সমাধানের জন্য বিপরীত লিঙ্গের ও অনেকগুলো গাছ একত্রে লাগানো যেতে পারে।
(৮) গাছের দৈহিক বৃদ্ধি বেশি হলে জমি চাষ করে যা অন্য উপায়ে মূল ছাটাই করতে হবে। গাছের প্রধান শাখা বা কাণ্ডের গোড়ায় রিং আকারে বাকল কাটতে হবে। এই বাকল গাছ বিশেষে ১০ সে: মি: থেকে ১২ সেঃ মিঃ এর বেশি ব্যাসবিশিষ্ট কাটা যাবে না ।
(৯) গাছে ফলের সংখ্যা খুব বেশি হলে ফল পাতলা করে দিতে হবে ।
(১০) চিরসবুজ গাছের বেলায় ফল পাড়ার পর ছোট ছোট ও রোগাক্রান্ত শাখা প্রশাখা ছাটাই করে দিতে হবে । এছাড়াও কোন কোন বিশেষ শাখা বৃদ্ধির জন্য অন্য শাখা প্রশাখা কেটে দিতে হবে। লিচু, পেয়ারা, কুল, জাম, জামরুল, কাঁঠাল ইত্যাদি ফল গাছে প্রজাতি ভেদে ভাল ফলনের জন্য কম বা বেশি অঙ্গ ছাঁটাই করতে হবে।
(১১) পানো ফিকস প্যাটেন্ট হরমোন, ২-৪ ডি হরমোন সাধারণত প্রতি দশলক্ষ ভাগ পানিতে ১ থেকে ২০০ ভাগ হরমোন মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আরও দেখুন...